বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ (বিডিএল) একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক দল, যা জনগণের ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং একটি সুশাসিত রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৪-এর গণআন্দোলনের শিক্ষা, এবং আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে অনুপ্রাণিত। দলের গঠনতন্ত্র এবং ক্ষমতা কাঠামো দলীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে, যা জবাবদিহি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
গণতন্ত্র: জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
সেকুলারিজম: ধর্মীয় নিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
ন্যায়বিচার: আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার।
জাতীয় ঐক্য: দলীয় বিভক্তি নয়, বরং জাতীয় উন্নয়নে একত্রিত হওয়া।
অর্থনৈতিক ভারসাম্য: শ্রমিক, কৃষক, এবং পুঁজিপতিদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা।
দলীয় পতাকা: জাতীয় পতাকা, শাপলা, ৭ তারা (৭ বীরশ্রেষ্ঠ্য) সম্বলিত।
মুখ্য লক্ষ্য: গণতান্ত্রিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ, এবং জনগণের কল্যাণ।
দলের সদস্যপদ: ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক। সদস্যপদ গ্রহণে জাতীয়তাবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস থাকতে হবে। কোনো সাম্প্রদায়িক বা ফ্যাসিস্ট সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যোগ দিতে পারবেন না।
১৯৭১-এর ইতিহাসকে শ্রদ্ধা ও পুনর্গঠন। ২৪-এর গণআন্দোলনের শিক্ষা: জনগণের ঐক্যের শক্তি থেকে শাসন পদ্ধতি শেখা। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্রের আদর্শ: জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ এবং গণতন্ত্রের বৈশ্বিক মানদণ্ড।
সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। সদস্য সংখ্যা: ৩১ জন। সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, এবং সম্পাদকমন্ডলী। সাধারণ সদস্যদের মধ্যে তরুণ নেতৃত্ব, নারী প্রতিনিধি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, শ্রেণী-পেশা ভিত্তিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত। দায়িত্ব: দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ। নির্বাচনকালীন কৌশল প্রণয়ন। সরকারের সাথে সম্পর্ক রক্ষা ও নীতিগত পরিকল্পনা।
সদস্য সংখ্যা: ১৫ জন। দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত। দায়িত্ব: সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন। প্রচার ও জনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা। কর্মী প্রশিক্ষণ এবং নীতি বাস্তবায়ন।
ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, এবং বিভাগীয় স্তরে কমিটি। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে সংগঠিত। দায়িত্ব: স্থানীয় পর্যায়ে জনসংযোগ। আন্দোলন ও কর্মসূচি পরিচালনা। স্থানীয় ইস্যুতে দলীয় অবস্থান তুলে ধরা।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত। দলীয়করণ মুক্ত প্রশাসন: প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা।
ন্যূনতম, নায্যতম মজুরি এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত। কৃষি উন্নয়ন: কৃষি খাতে প্রণোদনা বৃদ্ধি। প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি: স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনী খাতে বিনিয়োগ।
নারীর জন্য সমান সুযোগ এবং সুরক্ষা। শিক্ষা সংস্কার: মানসম্মত ও বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যসেবা: সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত।
কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতি নির্ভরশীল না হওয়া। রোহিঙ্গা সংকট: আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ এবং কার্যকর সমাধান। জলবায়ু পরিবর্তন: পরিবেশ রক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্ব গ্রহণ।
“গণতন্ত্র আমাদের অধিকার, ন্যায়বিচার আমাদের অঙ্গীকার।” “২৪-এর শিক্ষা, গণতন্ত্রের ভিত্তি।” অঙ্গীকার: বিজিএল জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমরা জনগণের জন্য কাজ করব, কোনো একনায়কতন্ত্র বা দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়। উপসংহার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ একটি সেন্ট্রিস্ট এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যা ২৪-এর আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, এবং গণআন্দোলনের শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত। দলটি জনগণের ঐক্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং সুশাসনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে কাজ করবে।
—