ঘোষণাপত্র
15655
wp-singular,page-template-default,page,page-id-15655,wp-theme-bridge,wp-child-theme-bridge-child,bridge-core-1.0.7,ajax_fade,page_not_loaded,,hide_top_bar_on_mobile_header,qode-child-theme-ver-1.0.0,qode-theme-ver-18.2.1,qode-theme-bridge,qode_header_in_grid,wpb-js-composer js-comp-ver-6.0.5,vc_responsive

ঘোষণাপত্র

প্রস্তাবনা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ গণমানুষের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য নিবেদিত একটি গণতান্ত্রিক, সেক্যুলার, এবং সেন্ট্রিস্ট রাজনৈতিক দল। এ দল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক ছয় দফা, ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনায় অনুপ্রাণিত।

আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা জাতীয় ঐতিহ্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, এবং গণতান্ত্রিক নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।

আমাদের ঐতিহাসিক ভিত্তি

১. ঐতিহাসিক ছয় দফা:

১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবি ছিল পূর্ব বাংলার আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মূল ভিত্তি। এই দফা শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথ তৈরি করেনি, এটি ছিল গণতন্ত্র এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান।

২. মহান মুক্তিযুদ্ধ:

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কেবল এক দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ নয়, এটি ছিল গণতন্ত্র, সাম্য এবং ন্যায়বিচারের জন্য জাতির সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি এখনও আমাদের পথনির্দেশক।

৩. ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান:

স্বৈরশাসকের পতন এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার একতাবদ্ধ আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। আমরা সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

৪. ২০২৪-এর ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থান:

২০২৪ সালে জনগণ আবার প্রমাণ করেছে, অন্যায় এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি এ জাতির মধ্যে আজও জীবন্ত। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের জন্য নতুন পথ দেখিয়েছে।

আমাদের আদর্শ ও লক্ষ্য

১. গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা:

আমরা এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করব যেখানে:

সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে।

নির্বাচনী ব্যবস্থা হবে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক।

রাজনীতিতে দলীয়করণ এবং দুর্নীতির অবসান ঘটবে।

২. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা:

দেশীয় শিল্প ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি তৈরি করা।

শ্রমিক, কৃষক, এবং ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নত সুযোগ সৃষ্টি করা।

পুঁজিবাদী শোষণের বিপরীতে ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা।

৩. মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার:

ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ।

৪. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:

বৈশ্বিক রাজনীতিতে সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে সমঝোতা।

বাংলাদেশের স্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি, যেখানে ঢাকা হবে আমাদের “কেবলা”।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের মূলনীতি

১. জাতীয় ঐক্য:

জাতির সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন।

২. সেক্যুলারিজম:

ধর্মের নামে অপরাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।

৩. প্রগতিশীলতা:

শিক্ষা, বিজ্ঞান, এবং জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণ।

৪. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি:

প্রশাসন এবং রাজনীতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

৫. অধিকার ও মর্যাদা:

প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা।