আমাদের অঙ্গীকার ও দফা সমূহ
15907
wp-singular,page-template-default,page,page-id-15907,wp-theme-bridge,wp-child-theme-bridge-child,bridge-core-1.0.7,ajax_fade,page_not_loaded,,hide_top_bar_on_mobile_header,qode-child-theme-ver-1.0.0,qode-theme-ver-18.2.1,qode-theme-bridge,qode_header_in_grid,wpb-js-composer js-comp-ver-6.0.5,vc_responsive

আমাদের অঙ্গীকার ও দফা সমূহ

দফা ১. ২৪ জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের ন্যায়বিচার শহীদ ও আহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় অনুদান, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করা কিন্তু কোনভাবেই ১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের মান মর্যাদাকে অতিক্রম করে নয়। জাতীয় ট্রাইব্যুনালের বিলম্বিত বিচার পরিহার করে আন্তর্জাতিক আদালতের অধীনে হত্যার-নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করা।

 

 

 

দফা ২. লুটেরা ব্যবসায়ীদের সম্পদের উৎস অনুসন্ধান এবং রাষ্ট্রীয় পাওনা অর্থ-সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং সেই সাথে ভুক্তভোগী জনতার সম্পদ ফেরত দেয়া। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পরাজিত চক্রের গোপন অর্থায়ন, আন্তর্জাতিক সংযোগ ও ষড়যন্ত্রের পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ। ষড়যন্ত্রকারীদের ও পৃষ্ঠপোষকদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত করা।

 

 

 

দফা ৩. তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান “এক কোটি কর্মসংস্থান” কর্মসূচির অধীনে উৎপাদন, প্রযুক্তি, কৃষি ও সেবা খাতে চাকরি সৃষ্টি। সরকারি–বেসরকারি খাত–স্টার্টআপ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ‘জাতীয় কর্মসংস্থান মিশন’ চালু। সামরিক-আধা সামরিক এবং পুলিশ বাহনিীতে সদস্য সংখ্যা অর্ধ কোটি উন্নীত।

 

 

 

দফা ৪. বৈদেশিক চুক্তি ও দুর্নীতির স্বচ্ছতায় পূর্ববর্তী সরকারের গোপন বৈদেশিক চুক্তিসমূহ জনসম্মুখে প্রকাশ ও মূল্যায়ন। সব লোপাট, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও রাষ্ট্রীয় চুক্তির আর্থিক অনিয়মের উপর “দুর্নীতি শ্বেতপত্র” প্রকাশ ও রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশন গঠন। সেই সাথে গঠিত “ট্রুথ কমিশনে” বিচার করা।

 

 

 

দফা ৫. ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি ও দুর্বলতা দূর করে পূর্ণতা দিতে র্কাযক্রম এগিয়ে নেয়া। ১৯৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পক্ষের বিতর্কিত প্রসিকিউটরদের ২৪শে জুলা্ই নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র পক্ষে নিয়োগ বাতিল, অপসারণ ও নতুন ট্রান্সপারেন্ট প্রসিকিউশন টিম গঠন। সকল ট্রাইব্যুনালের বিচারের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও নাগরিক পর্যবেক্ষক দল অন্তর্ভুক্তি।

 

 

 

দফা ৬. নির্বাচনে ও দল নিবন্ধনে “দাড়িপাল্লা” প্রতীক বাতিল। জামায়াত-ই-ইসলামের প্রতীক “দাড়িপাল্লা” রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক, তাই সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে যে কোন দলের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সেই সাথে দলটি ধর্মের নামে “দাড়িপাল্লা” অপব্যবহারে ধার্মিক ইসলামপন্থীদের বিভ্রান্ত করেছে। “স্রষ্টার নামে শিরকী প্রতীক ধর্ম অবমাননার শামিল”— এই নীতির ভিত্তিতে প্রতীক বাতিল করা হবে।

 

 

 

দফা ৭. ২৪শে জুলাই গণঅভ্যাথ্বান পরবর্তী প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রযন্ত্রে অভিযুক্ত জামায়াত-ই-ইসলামের সম্পৃক্ত অনুপ্রবেশকারী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পুনর্মূল্যায়ন ও অবিলম্বে অপসারণ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে উগ্র প্রতীক্রিয়াশীল শক্তির অনুপ্রবেশ রোধে স্বাধীন কমিশন গঠন।

 

 

 

দফা ৮. ‘অভিযোগ বাক্স’ — অংশীদারিত্বমূলক রাষ্ট্র গঠনের হাতিয়ার। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনে ‘অভিযোগ বাক্স’ স্থাপন। প্রতিটি অভিযোগের দ্রুত ও স্বচ্ছ সমাধান। রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে জনগণের চিন্তা, মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বাস্তবায়নে “জাতীয় অভিযোগ ম্যানেজমেন্ট সেল (NCMC)” গঠন, মাসিক রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ।

 

 

 

দফা ৯. রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে জনগণের সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করতে নাগরিক রেফারেন্ডাম বিল পাশ করা।

 

 

 

দফা ১০. ছাত্রদের রাষ্ট্র গঠনে অন্তর্ভুক্তিতে ইর্ন্টাণশীপ চালু করা। গ্রামীণ ইউনিয়ন পরিষদ এবং নগর ওর্য়াড কমিটিগুলোতে ‘জনমত কাউন্সিল’ গঠন যার মতামত ছাড়া উন্নয়ন হবে না।

 

 

 

দফা ১১. ঘুষ ও দূরীিত রোধে সরকারি অফিসগুলোতে বিশেষ সেল গঠন করা এবং আয়কর কমিশন এবং দূরনীতি দমন কমিশন স্বাধীন ও জনবল বৃদ্ধ করে শক্তিশালী করা। চাঁদাবাজী বন্ধে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, বাজার মনিটরিং শক্তিশালী করা।

 

 

দফা ১২. প্রবাসীদের নিজ দেশে নিরাপদ জীবন নিশ্চিতকরন এর জন্য তাদের বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ দিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংক অথবা প্রবাসী উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক শিল্প নির্মাণ করা হবে, যেখানে কাজ করবে স্থানীয় বেকার তরুন- তরুনী। এক্ষেত্রে অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণ হবে এবং প্রচুর কর্ম সংস্থান তৈরী হবে। প্রবাসী বান্ধব পার্টি।