
04 Oct Recent trends in storytelling
প্রস্তাবনা
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ গণমানুষের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য নিবেদিত একটি গণতান্ত্রিক, সেক্যুলার, এবং সেন্ট্রিস্ট রাজনৈতিক দল। এ দল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক ছয় দফা, ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনায় অনুপ্রাণিত।
আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা জাতীয় ঐতিহ্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, এবং গণতান্ত্রিক নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
—
আমাদের ঐতিহাসিক ভিত্তি
১. ঐতিহাসিক ছয় দফা:
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবি ছিল পূর্ব বাংলার আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মূল ভিত্তি। এই দফা শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথ তৈরি করেনি, এটি ছিল গণতন্ত্র এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান।
২. মহান মুক্তিযুদ্ধ:
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কেবল এক দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ নয়, এটি ছিল গণতন্ত্র, সাম্য এবং ন্যায়বিচারের জন্য জাতির সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি এখনও আমাদের পথনির্দেশক।
৩. ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান:
স্বৈরশাসকের পতন এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার একতাবদ্ধ আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। আমরা সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
৪. ২০২৪-এর ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থান:
২০২৪ সালে জনগণ আবার প্রমাণ করেছে, অন্যায় এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি এ জাতির মধ্যে আজও জীবন্ত। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের জন্য নতুন পথ দেখিয়েছে।
—
আমাদের আদর্শ ও লক্ষ্য
১. গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা:
আমরা এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করব যেখানে:
সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে।
নির্বাচনী ব্যবস্থা হবে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক।
রাজনীতিতে দলীয়করণ এবং দুর্নীতির অবসান ঘটবে।
২. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা:
দেশীয় শিল্প ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি তৈরি করা।
শ্রমিক, কৃষক, এবং ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নত সুযোগ সৃষ্টি করা।
পুঁজিবাদী শোষণের বিপরীতে ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা।
৩. মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার:
ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ।
৪. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
বৈশ্বিক রাজনীতিতে সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে সমঝোতা।
বাংলাদেশের স্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি, যেখানে ঢাকা হবে আমাদের “কেবলা”।
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের মূলনীতি
১. জাতীয় ঐক্য:
জাতির সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন।
২. সেক্যুলারিজম:
ধর্মের নামে অপরাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
৩. প্রগতিশীলতা:
শিক্ষা, বিজ্ঞান, এবং জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণ।
৪. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি:
প্রশাসন এবং রাজনীতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
৫. অধিকার ও মর্যাদা:
প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা।
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের কর্মসূচি
১. শিক্ষা সংস্কার:
শিক্ষার বেসরকারী বাণিজ্যিকীকরণের বিপরীতে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি; ভারসাম্যর্পূণ প্রতিযোগীতা গড়ে উঠুক।
কৃষি শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক করা।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিক্ষায় জোর দেওয়া।
বিভিন্ন শিক্ষা মাধ্যমের বৈচিত্র সত্ত্বেও বিয়য়ভিত্তিক একমুখি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া।
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিল্ম-মিডিয়া বিভাগের সংখ্যা বৃদ্ধি।
২. স্বাস্থ্যসেবা:
সবার জন্য বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য উচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বীমা প্রচলন করা।
স্বাস্থ্যে বেসরকারী বাণিজ্যিকীকরণের বিপরীতে সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি; ভারসাম্যর্পূণ প্রতিযোগীতা গড়ে উঠুক।
৩. পরিবেশ রক্ষা:
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ।
পরিবেশবান্ধব কৃষি ও শিল্প গড়ে তোলা।
৪. নারীর ক্ষমতায়ন:
নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা রোধ।
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করা।
৫. যুব সমাজের উন্নয়ন:
বেকারত্ব দূরীকরণ।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া।
উপসংহার
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ একটি স্বপ্ন, একটি অঙ্গীকার—গণতন্ত্র, সাম্য, এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যই পরিবর্তনের মূল শক্তি।
শ্লোগান:
“গণতন্ত্র আমাদের অধিকার, সমতা আমাদের পথ, ন্যায়বিচার আমাদের লক্ষ্য। আসুন, একসঙ্গে এগিয়ে যাই।”
আমাদের যাত্রা কেবল একটি রাজনৈতিক দল গড়ার নয়, বরং একটি দেশ গড়ার। যেখানে:
প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।
শ্রমিক, কৃষক, এবং তরুণ প্রজন্ম তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবে।
বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে।
“দেশ আমার, অধিকার আমার, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। গণমানুষের বাংলাদেশ গড়ে তুলুন।”
আসুন, অতীতের শিক্ষাকে সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাই। গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করি এবং জনগণের শক্তিতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ—জনগণের শক্তি, গণমানুষের কণ্ঠস্বর।
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের রাজনৈতিক দফাসমূহ: সংস্কার ও অঙ্গীকার
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ (বিজিএল) জনগণের অধিকার রক্ষা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, এবং ঐক্যের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক, সেকুলার, এবং আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ৯০-এর গণআন্দোলন, এবং সাম্প্রতিক ২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত। বিজিএল সকল রাজনৈতিক দলের ইতিবাচক দিকগুলো বিশ্লেষণ করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে।
দফা ১: ২৪-এর আন্দোলন, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ, ও জনগণের প্রতিরোধের শিক্ষা
বিশ্লেষণ:
২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন জনগণের ঐক্য, সাহস, প্রতিরোধের এক উজ্জ্বল উদাহরণ, এবং একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি দেখিয়েছে জনগণের ঐক্য ও সাহসিকতা কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ভিত্তি তৈরি করতে পারে। এটি দেখিয়েছে কীভাবে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ একটি স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটাতে পারে।
প্রতিশ্রুতি:
ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তি।
একটি গণতান্ত্রিক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত।
জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলনের ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কারের উদ্যোগ।
ছাত্র, শ্রমিক, এবং সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য নতুন নীতিমালা।
দমননীতি বন্ধ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত সকল শহীদ এবং আহত বীরদের তালিকা তৈরী।মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ঘাতক, দালাল, সন্ত্রাসী, এবং র্নিদেশ দাতাদের সহ অভিযুক্ত সকল অপরাধীদের তালিকা তৈরী।
আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত ICC সহযোগীতায় বাংলাদেশে গঠিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ এর মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য ঘাতক-দালালদের বিচার করা অব্যাহত রাখা।
দফা ২: সংবিধান সংষ্কার
বিশ্লেষণ:
১৯৭২ খ্রী: ৪ঠা নভেম্বরে সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর প্রায় ৫২ বছর পার হলেও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলোর বাস্তবায়নে কোনরূপ পদেক্ষপ গ্রহণ তা দূরের কথা, বরং সংবিধানের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল প্রস্তাবনার বিপরীতে অনাকাঙ্খিত অনুচ্ছেদ ও বিষয় সংশোধন ও সংযোজন-বিয়োজন করে সংবিধানের মূল চরিত্রই বদল ঘটিয়েছে, যা মূলত একদিকে যেমন অগণতান্ত্রিক, অন্যদিকে তা ১৯৭২ সালে গৃহীত সংবিধানের সহিত সার্ঙ্ঘষিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ যা বাতিলযোগ্য। আর এ সবই করা হয়েছে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী তথা একনায়কতান্ত্রিক ধারায়। যেখানে ১৯৭২ খ্রী: গৃহীত সংবিধান এতাদিনে আরও গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল হওয়ার কথা, সেখানে সংবিধানকে অগণতান্ত্রিক ও প্রগতিবিরোধী অবস্থানে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভে র্ব্যাথ হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি:
সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী থেকে দ্বাদশ সংশোধনী এবং চর্তুদশ সংশোধনী থেকে সপ্তদশ সংশোধনীতে সেই সঙ্গে অন্যান্য Proclamation-এ যা কিছু আছে তা সর্ম্পূণরূপে বাতিল করতে হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে যে সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে তা পরিহার করতে হবে, সংবিধান সংষ্কার করে আবারও প্রগতিমুখি করতে হবে। সেই সঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
দফা ৩: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র গঠন
বিশ্লেষণ:
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ভিত্তি। কিন্তু এর নাম ব্যবহার করে বিভাজন নয়, বরং একতাবদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনই হবে আমাদের অঙ্গীকার।
প্রতিশ্রুতি:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাতিগত সম্প্রীতির ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম নিশ্চিত।
সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।
মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং আহতদের তালিকা তৈরী।মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ঘাতক, দালাল তথা রাজাকার-আল-বদর, আল-শামস, শান্তি কমিটির র্নিদেশ দাতাদের সহ অভিযুক্ত সকল অপরাধীদের তালিকা তৈরী।
আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত ICC সহযোগীতায় বাংলাদেশে গঠিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য ঘাতক-দালালদের বিচার করা অব্যাহত রাখা।
দফা ৪: গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং দলীয়করণ মুক্ত প্রশাসন
বিশ্লেষণ:
দলীয়করণ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। এটি বদলাতে হবে।
প্রতিশ্রুতি:
প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থায় দলীয়করণ মুক্ত সংস্কার।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা।
দফা ৫: অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
বিশ্লেষণ:
দারিদ্র্য, বৈষম্য, এবং শ্রেণিগত অসমতা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে। অর্থনীতি হবে জনগণের কল্যাণে, শুধু মুনাফার জন্য নয়।
প্রতিশ্রুতি:
কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত।
কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা।
দুর্নীতি দমন এবং বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা গঠন।
দফা ৬: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরপেক্ষ কূটনীতি
বিশ্লেষণ:
বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান আমাদের জন্য সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারসাম্য এবং স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিশ্রুতি:
কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতি অন্ধ আনুগত্য নয়, বরং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক নেতৃত্ব গ্রহণ।
উপসংহার:
নতুন বাংলাদেশের পথে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ জনগণের শক্তি, ২৪-এর গণআন্দোলনের শিক্ষা, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভিত্তি করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, এবং আধুনিক রাষ্ট্র গড়তে বদ্ধপরিকর।
শ্লোগান:
“২৪-এর শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।”
“গণতন্ত্র আমাদের অধিকার, ন্যায়বিচার আমাদের অঙ্গীকার।”
“ঐক্যবদ্ধ হই, আগামীর বাংলাদেশ গড়ি।”
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের গঠনতন্ত্র এবং ক্ষমতা কাঠামো: বিশ্লেষণ ও দৃষ্টিভঙ্গি
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ (বিজিএল) একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক দল, যা জনগণের ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং একটি সুশাসিত রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৪-এর গণআন্দোলনের শিক্ষা, এবং আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে অনুপ্রাণিত। দলের গঠনতন্ত্র এবং ক্ষমতা কাঠামো দলীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে, যা জবাবদিহি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
১. গঠনতন্ত্র: মূলনীতি ও আদর্শ
১.১ দলীয় মূলনীতি
গণতন্ত্র: জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
সেকুলারিজম: ধর্মীয় নিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
ন্যায়বিচার: আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার।
জাতীয় ঐক্য: দলীয় বিভক্তি নয়, বরং জাতীয় উন্নয়নে একত্রিত হওয়া।
অর্থনৈতিক ভারসাম্য: শ্রমিক, কৃষক, এবং পুঁজিপতিদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা।
১.২ গঠনতান্ত্রিক কাঠামো
দলের নাম: বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ (বিজিএল)।
দলীয় পতাকা: জাতীয় পতাকা, ইলিশ মাছ/শাপলা/মানচিত্র, ৭ তারা (৭ বীরশ্রেষ্ঠ্য) সম্বলিত।
মুখ্য লক্ষ্য: গণতান্ত্রিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ, এবং জনগণের কল্যাণ।
দলের সদস্যপদ: ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক।
সদস্যপদ গ্রহণে জাতীয়তাবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস থাকতে হবে।
কোনো সাম্প্রদায়িক বা ফ্যাসিস্ট সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যোগ দিতে পারবেন না।
১.৩ আদর্শিক ভিত্তি
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: ১৯৭১-এর ইতিহাসকে শ্রদ্ধা ও পুনর্গঠন।
২৪-এর গণআন্দোলনের শিক্ষা: জনগণের ঐক্যের শক্তি থেকে শাসন পদ্ধতি শেখা।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্রের আদর্শ: জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ এবং গণতন্ত্রের বৈশ্বিক মানদণ্ড।
২. ক্ষমতা কাঠামো: দলীয় সংগঠনের স্তর ও দায়িত্ব
২.১ কেন্দ্রীয় কমিটি (সেন্ট্রাল কমিটি)
গঠন:
সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম।
সদস্য সংখ্যা: ৩১ জন।
সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, এবং সম্পাদকমন্ডলী।
সাধারণ সদস্যদের মধ্যে তরুণ নেতৃত্ব, নারী প্রতিনিধি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, শ্রেণী-পেশা ভিত্তিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত।
দায়িত্ব:
দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
নির্বাচনকালীন কৌশল প্রণয়ন।
সরকারের সাথে সম্পর্ক রক্ষা ও নীতিগত পরিকল্পনা।
২.২ কার্যনির্বাহী কমিটি (এক্সিকিউটিভ কমিটি)
গঠন:
সদস্য সংখ্যা: ১৫ জন।
দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত।
দায়িত্ব:
সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
প্রচার ও জনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা।
কর্মী প্রশিক্ষণ এবং নীতি বাস্তবায়ন।
২.৩ স্থানীয় কমিটি
গঠন:
ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, এবং বিভাগীয় স্তরে কমিটি।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে সংগঠিত।
দায়িত্ব:
স্থানীয় পর্যায়ে জনসংযোগ।
আন্দোলন ও কর্মসূচি পরিচালনা।
স্থানীয় ইস্যুতে দলীয় অবস্থান তুলে ধরা।
৩. দলীয় ভিত্তি: কার্যক্রম ও দায়িত্ব
৩.১ রাজনৈতিক সংস্কার
গণতান্ত্রিক নির্বাচন: নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত।
দলীয়করণ মুক্ত প্রশাসন: প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা।
৩.২ অর্থনৈতিক সংস্কার
শ্রমিকদের অধিকার: ন্যূনতম, নায্যতম মজুরি এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত।
কৃষি উন্নয়ন: কৃষি খাতে প্রণোদনা বৃদ্ধি।
প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি: স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনী খাতে বিনিয়োগ।
র্দূনীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ। জাতীয় ব্যাধি র্দূনীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি “ভিশন জিরো”
দেশ পরিচালনায় নাগরিকের সকল মতামত ও যেকোন অভিযোগ গ্রহনের লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে শক্তিশালী কমিশন গঠন। দেশব্যাপী “অভিযোগ বাক্স” স্থাপন।
৩.৩ সামাজিক সংস্কার
নারীর ক্ষমতায়ন: নারীর জন্য সমান সুযোগ এবং সুরক্ষা।
শিক্ষা সংস্কার: মানসম্মত ও বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্যসেবা: সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত।
৩.৪ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি: কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতি নির্ভরশীল না হওয়া।
রোহিঙ্গা সংকট: আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ এবং কার্যকর সমাধান।
জলবায়ু পরিবর্তন: পরিবেশ রক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্ব গ্রহণ।
৪. দলীয় শ্লোগান ও অঙ্গীকার
শ্লোগান:
“গণতন্ত্র আমাদের অধিকার, ন্যায়বিচার আমাদের অঙ্গীকার।”
“২৪-এর শিক্ষা, গণতন্ত্রের ভিত্তি।”
অঙ্গীকার:
বিজিএল জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমরা জনগণের জন্য কাজ করব, কোনো একনায়কতন্ত্র বা দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়।
উপসংহার
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ একটি সেন্ট্রিস্ট এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যা ২৪-এর আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, এবং গণআন্দোলনের শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত। দলটি জনগণের ঐক্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং সুশাসনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে কাজ করবে।
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: দলের নীতি ও পরিকল্পনা
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ ভবিষ্যতের বিশ্ব বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক, এবং প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য স্থির করেছে। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারকে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং শিল্প খাতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আমরা একটি উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা
১.১ ডিজিটাল বাংলাদেশ ২.০
বিদ্যমান ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও আধুনিকায়ন করা।
গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।
আইসিটি (ICT) ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন: নতুন প্রজন্মের জন্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।
১.২ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence-AI) এবং রোবোটিক্স
প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনার জন্য এআই ব্যবহারের পরিকল্পনা।
কৃষি, স্বাস্থ্য, এবং শিল্প খাতে রোবোটিক্স প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা।
এআই শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত কোর্স চালু করা।
১.৩ নবায়নযোগ্য শক্তি
সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তির উন্নয়ন এবং সুলভ ব্যবহার।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি।
সরকারি ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা।
১.৪ মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি
একটি জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠা।
স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহারকে বিস্তৃত করা।
মহাকাশ বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী ও গবেষণার সুযোগ তৈরি।
২. শিক্ষা ও গবেষণা খাতে প্রযুক্তির উন্নয়ন
২.১ বিজ্ঞান-ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা
প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, এবং গণিত (STEM) শিক্ষা বাধ্যতামূলক।
গবেষণার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব।
আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার তৈরি।
২.২ উদ্ভাবনী শিক্ষা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটি, এবং কোডিং শিক্ষার উপর জোর।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার সুযোগ।
শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ও স্টার্টআপ অনুদান।
২.৩ “একটি ল্যাপটপ, একটি স্বপ্ন” কর্মসূচি
গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভে ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সুবিধা।
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শ্রেণীকক্ষকে ডিজিটালাইজড করা।
৩. শিল্প ও প্রযুক্তি ভিত্তিক অর্থনীতি
৩.১ প্রযুক্তি শিল্পে রূপান্তর
দেশের আইসিটি খাতকে ৫ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত করা।
আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার রপ্তানিতে নেতৃত্ব দেওয়া।
“টেক হাব বাংলাদেশ” কর্মসূচি: নতুন প্রযুক্তি পার্ক প্রতিষ্ঠা।
৩.২ কৃষিতে প্রযুক্তি
ড্রোন এবং সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো।
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং সেচব্যবস্থায় উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার।
কৃষকদের জন্য মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাজার তথ্য সরবরাহ।
৩.৩ স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার
টেলিমেডিসিনের সম্প্রসারণ।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিজিটাল রেকর্ড ব্যবস্থা চালু।
জেনেটিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন।
৪. ভবিষ্যৎ চিন্তা: টেকসই ও বৈশ্বিক নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়া
৪.১ ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি
অটোমেশন এবং স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ।
দেশের তরুণদের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করা।
৪.২ বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদদের আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরা।
র্শীষস্থানীয় বহুজাতিক তথ্য, প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব। যেমন: মাইক্রোসফট, গুগল, এপ্যল, টেসলা ইত্যাদি।
৪.৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি অর্জনে সহযোগিতা।
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও উদ্ভাবন।
৫. দলীয় শ্লোগান: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিশ্রুতি
“বিজ্ঞান হোক উন্নয়নের ভিত্তি, প্রযুক্তি হোক ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শক।”
“আধুনিক বাংলাদেশ, প্রযুক্তিতে অগ্রগামী।”
উপসংহার:
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-নির্ভর সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়। শিক্ষা, শিল্প, এবং সামাজিক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গবেষণা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা একটি আধুনিক, টেকসই, এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের আধুনিক ও বাস্তবসম্মত কর্মসূচি
নতুন যুগের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, দক্ষ, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বুদ্ধিজীবীতা, সংস্কৃতি, প্রশাসনিক কাঠামো, জাতীয় পুঁজি, পুঁজিবাদী অর্থনীতি, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল স্তরে কার্যকর এবং সময়োপযোগী সংস্কার প্রয়োজন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ এই লক্ষ্য অর্জনে একটি সুসংগঠিত, বিজ্ঞাননির্ভর, এবং জনমুখী কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।
১. বুদ্ধিজীবীতা এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
১.১ বুদ্ধিজীবী শ্রেণির ভূমিকা
বুদ্ধিজীবীতা হবে মুক্তচিন্তার ভিত্তি, যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক নীতিতে অবদান রাখবে।
গবেষণা এবং বিশ্লেষণমূলক লেখনীকে উৎসাহিত করার জন্য “জাতীয় চিন্তা গবেষণা কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বৈশ্বিক চিন্তার সমন্বয়ে বুদ্ধিজীবী চর্চার বিস্তৃতি।
১.২ সংস্কৃতির আধুনিকায়ন
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং আধুনিক শিল্প ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা।
নাটক, সিনেমা, এবং সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় মূল্যবোধের প্রচার।
সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে তা সমাজের গভীর পরিবর্তনে কাজে লাগানো।
২. প্রশাসনিক কাঠামো এবং আমলাতন্ত্র
২.১ প্রশাসনিক সংস্কার
আমলাতন্ত্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য “ই-গভর্নেন্স সিস্টেম” চালু।
প্রতিটি সরকারি দফতরে নাগরিকদের সরাসরি অভিযোগ গ্রহণ এবং দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা।
আমলাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা।
২.২ বিকেন্দ্রীকরণ
ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি।
স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
প্রশাসনিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা।
৩. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী: পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী
৩.১ পুলিশ বাহিনী
পুলিশ বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে “পুলিশ ওভারসাইট কমিশন” গঠন।
জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা, যেখানে জনগণকে সুরক্ষিত রাখাই হবে প্রধান লক্ষ্য।
পুলিশের কর্মঘণ্টা এবং বেতন কাঠামোর উন্নতি।
শক্তিশালী জাতি গঠনে সহায়ক ১৮ উর্দ্ধ সকলকে পুলিশ বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশগ্রহনে উৎসাহ দেওয়া।
৩.২ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী
সেনাবাহিনীকে দেশ রক্ষার মূল দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখা।
আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি দিয়ে সেনাবাহিনীকে সজ্জিত করা।
জাতীয় দুর্যোগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বাড়ানো।
শক্তিশালী জাতি গঠনে সহায়ক ১৮ উর্দ্ধ সকলকে সামরিক বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশগ্রহনে উৎসাহ দেওয়া।
৩.৩ জাতীয় নিরাপত্তা
একটি সমন্বিত জাতীয় নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন।
সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগ এবং দক্ষ জনবল গড়ে তোলা।
আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা।
৪. জাতীয় পুঁজি ও পুঁজিবাদী অর্থনীতি
৪.১ জাতীয় পুঁজি এবং স্বনির্ভরতা
দেশীয় শিল্প এবং উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রণোদনা।
বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো, তবে তা হবে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সহজলভ্য ঋণ এবং প্রযুক্তি সহায়তা। ঋণখেলাপী রোধে মাঝারী-বৃহৎ শিল্পে ঋণ প্রদানের পাশাপাশি বিনিয়োগ অংশিদারীত্ব গড়ে তোলা।
৪.২ পুঁজিবাদী অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ
করপোরেট কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা।
আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে “অর্থনৈতিক জবাবদিহিতা কমিশন” গঠন।
পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় শ্রমিক এবং পুঁজিপতিদের মধ্যে সমন্বয়।
৫. ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি শ্রেণি
৫.১ ব্যবসা-বাণিজ্যে সহজীকরণ
ব্যবসায়িক নিয়ম-কানুন সহজ এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক করা।
ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য কর ছাড় এবং বিশেষায়িত সুবিধা।
নতুন স্টার্টআপদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড।
৫.২ শ্রমিক-ব্যবসায়ী সম্পর্ক
শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে সংলাপ এবং সমঝোতা প্রতিষ্ঠা।
৬. জনগণ এবং রাষ্ট্রের সম্পর্ক
৬.১ জনগণকে রাষ্ট্রের অংশীদার করা
জনগণকে রাষ্ট্রের মূল ক্ষমতায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরাসরি গণভোটের ব্যবস্থা।
নাগরিকদের সঙ্গে প্রশাসনের সরাসরি যোগাযোগ নিশ্চিত করা।
প্রতিবন্ধী, নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, এবং সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি।
৬.২ জনগণের ক্ষমতায়ন
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে বাস্তবায়ন।
প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৭. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি
৭.১ উদ্ভাবনী নেতৃত্ব
নেতৃত্বে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি।
নেতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা, দক্ষতা, এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
৭.২ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)
জাতিসংঘের এসডিজি অনুসরণ করে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা।
পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি উন্নয়ন।
উপসংহার
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ আধুনিক, কার্যকর এবং সময়োপযোগী চিন্তার ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বুদ্ধিজীবীতা, সংস্কৃতি, প্রশাসনিক কাঠামো, জাতীয় পুঁজি, এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় বাস্তবমুখী নীতিমালা গ্রহণ করে আমরা নতুন যুগের একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই।
শ্লোগান:
“জনগণের জন্য রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের জন্য জনগণ।”
“নবজাগরণের নেতৃত্ব, গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি।”
—
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লীগের ক্রীড়া, তরুণ, কিশোর এবং বৃদ্ধদের জন্য কর্মসূচি
১. ক্রীড়া উন্নয়ন:
প্রতিটি জেলায় আধুনিক স্টেডিয়াম এবং ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।
স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ক্রীড়া কার্যক্রম চালু।
ক্রীড়ায় আন্তর্জাতিক মানের প্রতিভা উন্নয়নে বিশেষায়িত স্কলারশিপ এবং প্রশিক্ষণ।
নগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ে, গ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে ছোট বড় মাঠ বৃদ্ধি।
২. তরুণদের জন্য পরিকল্পনা:
প্রযুক্তি, শিক্ষা, এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে তরুণদের নেতৃত্বে আনা।
প্রতিটি জেলায় ইনোভেশন হাব তৈরি করে স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশ।
তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালা এবং সংলাপ আয়োজন।
৩. কিশোরদের উন্নয়ন:
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্কুল ভিত্তিক কাউন্সেলিং সেবা।
পাঠ্যক্রমে সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তি শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি।
কিশোর অপরাধ দমনে সমন্বিত অভিভাবকীয় এবং শিক্ষামূলক উদ্যোগ।
৪. বৃদ্ধদের জন্য পরিকল্পনা:
সরকারি এবং বেসরকারি অংশীদারিত্বে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা।
“বয়স্ক সেবা কেন্দ্র” চালু করে স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সুরক্ষার ব্যবস্থা।
অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য বিশেষায়িত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।
এই কর্মসূচিগুলো সমাজের প্রতিটি বয়সের মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি পরিকল্পনার দিক নির্দেশনা দেয়।
Far far away, behind the word mountains, far from the countries Vokalia and Consonantia, there live the blind texts.
Far far away, behind the word mountains, far from the countries Vokalia and Consonantia, there live the blind texts. Separated they live in Bookmarksgrove right at the coast of the Semantics, a large language ocean. A small river named Duden flows by their place and supplies it with the necessary regelialia. It is a paradisematic country, in which roasted parts of sentences fly into your mouth. Even the all-powerful Pointing has no control about the blind texts it is an almost unorthographic life One day however a small line of blind text by the name of Lorem Ipsum decided to leave for the far World of Grammar. The Big Oxmox advised her not to do so, because there were thousands of bad Commas, wild Question Marks and devious Semikoli, but the Little Blind Text didn’t listen.
No Comments